গ্রুপ জীবন বীমা
গ্রুপ জীবন বীমার উদ্দেশ্যঃ
যে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণই হলেন উন্নয়নের চাবিকাঠি। সৎ, দক্ষ, কর্মনিষ্ঠ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আর্থিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা বিধান করে তাদের উৎসাহ উদ্দীপনা বৃদ্ধি করা সম্ভব হলে কাংক্ষীত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়। আর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বাধিক কর্মদক্ষতা প্রয়োগের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর কামনা করেন প্রতিষ্ঠানের মালিক/ব্যবস্থাপনা পরিচালক। একজন কর্মক্ষম কর্মকর্তা, কর্মচারী দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা পূরণের দায়িত্ব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার উপর ছেড়ে দিয়ে যেমন নিশ্চিন্ত থাকেন, তেমনি হঠাৎ কোন দূর্ঘটনায় অঙ্গহানি বা মৃত্যুজনিত ঘটনা ঘটে গেলে তার পোষ্যদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ তাদেরকে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে। প্রতিষ্ঠানের মালিক/ব্যবস্থাপনার নিকট কর্মকর্তা/কর্মচারীরা তাদের শ্রমের বিনিময়ে অর্জিত সাফল্যের পুরস্কার হিসাবে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করে থাকে। প্রতিষ্ঠানের মালিক/ব্যবস্থাপনার পক্ষে যে ঝুঁকি বহন করা সম্ভব নাও হতে পারে। এমতাবস্থায়, ‘‘ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইনসিওরেন্স লিমিটেড’’ অত্যন্ত অল্প প্রিমিয়ামে বড় অংকের ঝুঁকি গ্রহণের জন্য গ্রুপ জীবন বীমা পরিকল্প প্রণয়ন করেছে। প্রতিষ্ঠানের মালিক/ব্যবস্থাপনার একটি সহযোগী শক্তি হিসেবে কর্মকর্তা/কর্মচারীগণের দূর্ঘটনাজনিত অঙ্গহানী/কর্মে অক্ষমতা/মৃত্যুতে তাদের পরিবার পরিজনকে আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যেই গ্রুপ সাময়িক বীমা পলিসি পরিকল্প প্রনয়ন করা হয়েছে।
গ্রুপ বীমার প্রিমিয়াম প্রদান পদ্ধতিঃ
গ্রুপ বীমার প্রিমিয়াম প্রদান নির্ভর করে নিযোগকর্তা, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের যৌথ সিদ্ধান্তের উপর। তবে এই বীমার প্রিমিয়াম সম্পূর্ণ অথবা আংশিক নিয়োগকর্তা অথবা নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ও কর্মচারী গণ প্রদান করতে পারেন। এই বীমার প্রিমিয়াম বার্ষিক পদ্ধতিতে প্রদান করতে হয়।
কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের উন্নতিঃ
শিল্প প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক/ব্যবস্থাপনা কর্তৃক উক্ত বীমা ব্যবস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নৈতিক মনোবল, কর্মপ্রেরণা ও আনুগত্য বৃদ্ধি করতে পারে, ফলে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নতি সাধন হয়।
সহযোগী বীমা
সহযোগী বীমা একটি অতিরিক্ত বীমা। গ্রুপ বীমার চুক্তির সাথে সহযোগী বীমা সংযুক্ত করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট চুক্তিতে উল্লেখিত ঘটনা সংগঠিত হলে অতিরিক্ত আর্থিক সাহায্যের সংস্থান করে। সহযোগী বীমা সমূহ হলোঃ
১। দূর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে দ্বিগুন ক্ষতিপূরণ
২। দুর্ঘটনাজনিত স্থায়ী অঙ্গহানী সুবিধা
৩। গুরুব্যাধি বীমার সুবিধা